বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বিষয় হচ্ছে ফিল্যান্সিং। যদিও বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বহুদিন হতেই স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টি অনেকের কাছেই নতুন।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বিলিয়ন ডলারের একটি আইটি বাজার। যেখানে উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিংসহ ডাটা এন্ট্রির মত সাধারণ কাজ। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্থান বিষয়টি ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে। দেশ দু’টির একজন ছাত্র তার পড়াশোনার পাশাপাশি, একজন চাকুরিজীবি তার চাকুরির পাশাপাশি, এমনকি একজন গৃহিনীও তার কাজের ফাঁকে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর বৈদিশিক মুদ্রা উপার্জন করছে।
আমাদের বাংলাদেশেও অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর উপার্জন করছে। মূলত ইচ্ছামত কাজের সুবিধা থাকায় যে কেউ, যেকোন সময় ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। আয়ের দিক থেকে এসব কাজ কোন অংশে কম নয়। উদাহরণ স্বরুপ, একটি সাধারণ মানের ওয়েব ডিজাইনের কাজের পারিশ্রমিক ২০০ হতে ১০০০ ডলার বা এর বেশী হয়। প্রতি মূহুর্তেই নতুন নতুন কাজ আসছে। এক অসীম সম্ভাবনাময় কাজে আমাদের বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসলে অদূর ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস, বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করার প্রধান হাতিয়ার। অনেক দিক থেকেই বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ সুবিধা করতে সক্ষম। বিশেষত, তুলনামূলক কম খরচে আমরা কাজ করে দিতে পারব। শুধু প্রয়োজন কম্পিউটারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা ও কাজ করার পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি। ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়ার জন্য অনেক নির্ভরযোগ্য সাইট রয়েছে। যাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং-মার্কেটপ্লেস বলা হয়। এসব সাইটে যারা কাজ জমা দেয়, তাদেরকে বলা হয় বায়ার (Buyer) এবং যারা কাজটি করে দেয় তাদেরকে বলে ফ্রিল্যান্সার বা কোডার (Freelancer বা coder)। একটি কাজের জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সার আবেদন (Bid) করে। কাজটি কে কত ডলারে করতে পারবে তা উল্লেখ করে। যেসব কাজে পূর্বে তৈরিকৃত Sample দেখানো সম্ভব সেসব Sample যুক্ত করে ক্লায়েন্টকে দেখানোর জন্য। এদের মধ্যে হতে ক্লায়েন্ট একজনকে নির্বাচিত করেন। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ, পূর্ববর্তী কাজের Sample কাজ পেতে সাহায্য করে। ক্লায়েন্ট কাউকে কাজ দেওয়ার পরে কাজের সম্পূর্ণ টাকা সাইটে জমা দিয়ে দেন। ফলে কাজ শেষে উক্ত কাজের টাকা পাওয়ার ১০০% নিশ্চয়তা থাকে। একটি কাজ পেলে একজন ফ্রিল্যান্সারকে উক্ত কাজের জন্য ১০% হতে ১৫% পর্যন্ত কমিশন সাইটকে দিতে হয়। এসব সাইটে ছোট ছোট কাজ যেমন- ডাটা এন্ট্রি, লোগো ডিজাইন, ক্যাপচা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ পাওয়া খুবই সহজ। নতুন ফ্রিল্যান্সাররা এসব ছোট কাজ করে বায়ার কর্তৃক দেয়া রেটিং বাড়াতে পারেন, যা পরবর্তীতে বড় কাজ পেতে খুবই সহায়ক হয়।
নিম্নে কিছু নিভর্রযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের লিংক দেওয়া হল-
www.getafreelancer.com
www.rentacoder.com
www.getacoder.com
www.odesk.com
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলি বিভিন্ন পদ্ধতিতে payment করে থাকে, যেমন-Money Bookers, Western Union, Pioneer Debt Card, Bank Wire Transfer ইত্যাদি।
www.rentacoder.com
www.getacoder.com
www.odesk.com
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলি বিভিন্ন পদ্ধতিতে payment করে থাকে, যেমন-Money Bookers, Western Union, Pioneer Debt Card, Bank Wire Transfer ইত্যাদি।
Very useful article. Thank You.
উত্তরমুছুনYou are most welcome, sir.
উত্তরমুছুন